রিপোর্টার – শামীম আহমেদ
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।তারই প্রেক্ষিতে হানাচর ইউনিয়নে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে মোজাম্মেল হোসেন টিটু । তাই ষড়যন্ত্র করে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতী কিছু মহল। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় গভীরভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে পাশের ইউনিয়নে থাকা কিছু মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। ভোটাররা বলেন আমরা আনারস প্রতীক মোজাম্মেল হোসেন টিটু ভাইকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে চাই আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে আনারস মার্কায় ভোট না দেওয়ার জন্য ।
এ বিষয়ে, মোজাম্মেল হোসেন টিটু সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সঠিক হয়েছে না বেঠিক হয়েছে- তা আমাদের ১৩ নং হানারচর ইউনিয়ন জনগণই মূল্যায়ন করবে। অন্যান্য ইউনিয়নের বহিরাগত মুখোশধারী গডফাদারে হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।
এদিকে তথাকথিত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে ককটেল ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে । জনগণ চায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় তাদের ভোটের অধিকার চায়। আতঙ্ক করে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবেনা সন্ত্রাসীরা ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হোসেন টিটু গাজী বলেন আমি এবং আমার পূর্ব পুরুরা বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ পরিবারের কর্মী।আমার জেঠা মরহুম আদম আলীগাজী স্বাধীনতার পরে দলের দূরসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতির দায়িত্বপান এবং দীর্ঘসময় অত্র ইউনিয়নে চারবারের মেম্বার হিসাবে জনগনের সেবা প্রধান করেছেন। আমার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সহ-সভাপতি দায়িত্বপালন করেন এবং সর্বশেষ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এবং আমার বাবা অত্র ইউনিয়নের ভারপ্রপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে জনসাধারণের সেবা নিয়োজিত ছিলেন । দুইবারের নির্বাচিত মেম্বার হিসাবেও জনগনের সেবা করেছেন।
আমার বড় ভাই সোনা মিয়া গাজী একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হিসেবে জনগণের যান মালামালের নিরাপত্তা নিয়োজিত ছিলেন।
আমি পারিবারিক ভাবেই বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক ১৯৯৭ সাল থেকে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে আমার রাজনৈতিক পথচলা দীর্ঘ সংগ্রামের পরে আমি ১৩ নং হানারচর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মনোনীত হই,পরবর্তী সময়ে সেই কমিটির নির্বাচনের মাধ্যমে আমি ১৩নং হানারচর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সংগঠনের দায়িত্বপালন করি।
আমি দলের নেতৃত্বে থাকাকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের প্রতিটা ঘরে ঘরে সংগঠনের কর্মী তৈরি করতে সক্ষম হয়ছি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে জনগনের সেবাপ্রধান করেছি।
আমাদের পরিবারের জনসমর্থন মানে আওয়ামীলীগের জনসমর্থন,আমাদের জনসমর্থন মনে জননেত্রী শেখ হাসিনা জনসমর্থন।
আমি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে না চাইলে অত্র ইউনিয়নের জনগণ আমার বাড়ি গিয়ে মানববন্ধন করে আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে বাধ্য করে । জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে অবশেষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কায় পাই । বহিরাগত সন্ত্রাসী ধারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে পাশের ইউনিয়নের সন্ত্রাসীরা । তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ ক্লাবে হামলা চালিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশকে ব্যাহত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে । তাই তিনি জনগণকে তাদের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন একজন আওয়ামীলীগের তৃণমূল কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন একটাই নিবেদন তিনি যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জনগণকে উপহার দেন । তিনি আরো বলেন জামায়াত বিএনপির সঙ্গে হাত মিলানো আওয়ামী লীগের কর্মী তিনি তাকে বহিস্কৃত করা হয়েছিলো আবারো দলে ঢুকে নৌকা মার্কা নিয়ে জনগণের দরজায় গিয়ে পৌছায় । হানারচ ইউনিয়নের জনগণ তো বুঝে গিয়েছে তিনি এক সময় বিএনপির ভোট চেয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছেন এখন তিনি নিজেই নৌকার প্রতীক নিয়ে নিজের জন্য ভোট চাইছেন । হানারচর ইউনিয়ন এর জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে
Leave a Reply