আবুল কালাম আজাদ বিশেষ প্রতিনিঁধি
বান্দরবানের লামাতে এক ব্যবসায়ীর মেয়ের উপবৃত্তির টাকা আসছে বলে আশা দিয়ে ফোন প্রতারনার মাধমে প্রতারক চক্রের দল ১৫ হাজার টাকা খতিয়ে নিয়েছে এক ব্যবসায়ীর এটি এন কার্ড নন্বার হতে । এই মোবাইল প্রতারনার শিকার হয়েছেন তিনি হলেন লামা উপজেলার লামা আজাদ লাইব্রেরী ও পত্রিকার সাব এজেন্টের মালিক মোঃ জহিরুল ইসলাম লিটন ভাই। সোমবার বেলা ২১টা ১৫ মিনিটের সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে । এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তভোগীজন ।লিটনভাই তিনি সাংবাদিকদের বলেন ওয়ারিদের ফোন নাম্বার থেকে যে ভাবে প্রতারনা শিকার করা হয়েছেন । তিনি বলেন
01650247508 এ নাম্বার থেকে ৮আগষ্ট(সোমবার) বেলা ১২.১৫মিনিটের সময় ফোন করে জহিরুল ইসলাম লিটন ভাইয়ের ফোন নাম্বারে(01822603770) কল আসে। জহিরুল ভাই ফোনটি রিসিভ করে। তার পর অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যাক্তি বলেন, আমি শিক্ষা বোর্ড থেকে বলছি। আপনার মেয়ের নাম কি জান্নাতুল নাইমা আর আপনার নাম কি জহিরুল ইসলাম ও আপনার স্ত্রীর নাম ফাতেমা বেগম?
উত্তরে জহিরুল ইসলাম জানান হে, আমার মেয়ের নাম জান্নাতুল নাইমা আর আমার ও স্ত্রীর নামও সঠিক।
তার পর অপর প্রান্ত থেকে ( এ ফোন নাম্বার থেকে ০১৬৫০২৪৭৫০৮)পূনঃরায় বলেন- আপনার মেয়ে গত মাসে উপবৃত্তির ১৫০০টাকা পেয়েছে। বর্তমানে সরকার মেয়েদের লেখা পড়ার সুযোগ সুবিধার জন্য ১১০০০হাজার টাকার উপবৃত্তি শুরু করেছে। তাই আপনার ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড নাম্বারটি দ্রুত দিন।
উত্তরে জহিরুল ইসলাম আপনি লাইনে থাকেন, আমি এটিএম কার্ড নাম্বারটি এখনই দিচ্ছি। এ বলে ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা এটিএম কার্ডটি নিয়ে কার্ড নাম্বারটি জানিয়ে দিলো। এর পর ফোন নাম্বারটি ঐ প্রান্তের কথা বলা ব্যাক্তিটি কেটে দেয়।
ফোন কেটে দেওয়ার ৫মিনিটের মধ্যে জহিরুল ইসলাম লিটন ভাইয়ে ফোন নাম্বারে একটি মেসেজ আসে। ঐ মেসেজে জহিরুল ইসলাম ভাইয়ের ইসলামী ব্যাংকের একাউন্টন থেকে ১০ হ্জার টাকা কেটে নিয়েছে। এর দুই মিনিট পর আবার আরেকটি মেসেজ আসে। সে মেসেজে লিখা আছে জহিরুল ভাইয়ের একই একাউন্ট থেকে আরো ৫ হাজার টাকা মোট ১৫ হাজার টাকা কেটে নিয়ে নেয়।
এখন প্রশ্ন হলো, কার্ড নাম্বার দিয়ে কি ভাবে টাকা তুলতে পারে? তা কি ভাবে সম্ভাব!
তাইলে তো যাদের এটিএম কার্ড আছে তারা তো সবাই এখন টাকা হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিলে অন্যান্য গ্রাহকরা নিরাপদে থাকবে। এ ব্যাপারে গোয়ান্দাসংস্থা ও জেলা ,স্থায়ীয় পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ টিম প্রেরণ করে তদন্ত মাধ্যমে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভোক্তভোগী ও স্থানীয় সচেতনমহলেরা ।
Leave a Reply