বিনোদন ডেস্ক:
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তিনিও নেমেছিলেন রাস্তায়। শিল্পীসমাজের সঙ্গে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রদের সঙ্গে। এই আন্দোলনের বিজয়ে তারও উল্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হয়ে ওঠেনি। উল্টো স্ত্রী সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে ছাড়তে হয়েছে ঘর।
জলের গানের গায়ক রাহুল আনন্দের কথা বলছিলাম। আন্দোলনে বিজয় পরবর্তী সহিংসতায় ঘর-বাড়ি পোড়ানো হয় তার। পুড়ে ছাই হয়ে যায় গায়কের নিজ হাতে বানানো অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র। সংবাদমাধ্যমের কাছে লিখিত একটি প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছেন রাহুল।
সেখানে লিখেছেন, ‘তবু শান্তি আসুক আমার সোনার দেশে, যেকোনো মূল্যে। সে মূল্য যদি হয় আমার সোনার সংসারের পোড়া ছাই অথবা বাদ্যযন্ত্র পোড়া কয়লার বিনিময়ে, তাতেও দুঃখ নেই। ভালোবাসি বাংলা আর বাংলার মানুষকে, আমি বাংলায় গান গাই। সবার ভালো হোক। ভালো থাকুক আমার বাংলাদেশ।’
গায়কের কথায়, ‘কথা বলার মতো স্বাভাবিক নই আমি। প্রায় তিন হাজার বাদ্যযন্ত্র পুড়ে ছাই। ওরা আমার সন্তানের মতো। আমি একটা মানুষ বাচ্চাকে জীবিত নিয়ে বের হতে পেরেছি। বাকিরা পুড়েছে বা লুট হয়েছে।’
এদিকে রাহুল আনন্দের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন অনেকে। শিরোনামহীন ব্যান্ডের দলনেতা জিয়া, সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী রয়েছেন এ তালিকায়।
Leave a Reply