আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে তার ১৪তম ভাষণ দেবেন।
অন্যান্য বারের মতো এবারও তার ভাষণের মূল ফোকাস থাকবে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার বিষয়টি। খবর আনাদোলুর।
২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬০তম অধিবেশনে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অংশ নেন এরদোগান। তখন থেকেই তিনি জাতিসংঘের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
তার মতে, জাতিসংঘকে আরো কার্যকর এবং অংশগ্রহণমূলক করতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো জরুরি।
জাতিসংঘে এরদোগান তার ভাষণে দীর্ঘদিন ধরেই গাজা সংকট এবং ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের অত্যাচারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্লিপ্ততার তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।
২০১৪ সালে জাতিসংঘে তিনি প্রথমবারের মতো বলেন, ৫টি দেশের চেয়ে বিশ্ব অনেক বড়। তার মতে, জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যরা তাদের নিজেদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেয়, যা বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের অক্ষমতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন।
এবারের ভাষণে তিনি আবারো গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলবেন এবং ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাবেন।
এরদোগান ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে, তুরস্ক সব সময় নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে।
এছাড়া, এবারের সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট এরদোগান অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকট ও সমাধানের উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিন, সিরিয়া এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুগুলোর ওপর তিনি জোর দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধানের এই ভাষণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যখন ফিলিস্তিন প্রশ্নে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
Leave a Reply