রংপুর প্রতিনিধি,
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেখা দিয়েছে তিস্তাপারে বড়ধরনের বন্যা । ইতোমধ্যে পানি বৃদ্ধির কারনে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১২ টার আপডেট অনুযায়ী কাউনিয়া পয়েন্টে বর্তমানে পানির প্রবাহ ছিল ২৯ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। ধারণা করা হচ্ছে রাতের মধ্যে বিপৎসীমা আরো বাড়বে কাউনিয়ার এই পয়েন্টে।
এদিকে একই সময়ে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটারে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
অন্যদিকে টানা বর্ষণসহ উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছায় বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যার কারণে চড় এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে চাষ করা আমন ধান, আগাম আলুসহ অন্যান্য সবজি এখন পানির নিচে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে নষ্ট হবে ফসল আর কৃষকদের পথে বসতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, অসময়ে বন্যা হলে আমন ধান ও আগাম আলুসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হবে। এতে কৃষকদের চরম ক্ষতি হবে। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। সেই সাথে তিস্তার পানি বাড়ায় এবং বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারনে পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই পানি বাড়ছিলো। রাতে আরো ভয়াবহ অবস্থা। তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ এখন ২৯ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার। যা আরো বাড়বে। তাছাড়া পানি বাড়ায় তিস্তা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে সবসময় মনিটরিং করা হচ্ছে। যাতে রাস্তা ঘাট, ব্রীজ ভেঙে না যায় সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।
Leave a Reply