১৪৮ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ২১ ম্যাচে। এর মধ্যে ৭টি ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে তারা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালের সফরে ২১৭ রান করে জেতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসেই রসদ মিলে গিয়েছিল, তাই দ্বিতীয় ইনিংসে অস্বস্তিতে পড়ার কিছু ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা ভালো করলেন, বিশেষ করে দুর্বার বোলিং করলেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। তাতে ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংস বড় হলো না, কিন্তু বাংলাদেশের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেল ঠিকই।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানে এগিয়ে থাকায় স্বাগতিকদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৩ রান। অর্থাৎ, বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৩৪ রান। যে রান পাড়ি দিতে নিজেদের টেস্ট রেকর্ড পাল্টাতে হবে বাংলাদেশকে।
১৪৮ টেস্টে বাংলাদেশের জয় ২১ ম্যাচে। এর মধ্যে ৭টি ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছে তারা। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালের সফরে ২১৭ রান করে জেতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সফল রান তাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ১৯১ রানের। সেই হিসেবে এই ম্যাচের লক্ষ্য বাংলাদেশের কাছে পাহাড়সমই মনে হওয়ার কথা।
রান তাড়ায় ইতোমধ্যে কোণঠাসা বাংলাদেশ। ৭ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে সফরকারী দলটি। দলীয় ১ রানেই ফিরে যান ওপেনার জাকির হাসান। ৭ রানে থামেন আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। কেমার রোচ ও জেডেন হিলস একটি করে উইকেট নিয়েছেন। ৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ রান। মুমিনুল হক ৬ ও শাহাদাত হোসেন দিপু শূন্য রানে ব্যাটিং করছেন।
মিকাইল লুই, আলিখ আথানেজ ও সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাটে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবে গত কয়েক সিরিজের মতো ব্যাটিং ব্যর্থতায় হাবুডুবু খাওয়া বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে থাকার পরও ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসেই ১৮১ রানের লিড পায় ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস বড় হয়নি তাসকিনের বোলিং তোপে। বাংলাদেশের এই পেসার ১৪.১ ওভারে ৬৪ রানে ৬টি উইকেট নেন। দেশের বাইরে এটা বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। ক্যারিয়ারের প্রথমবারে মতো ৫ বা এর বেশি উইকেট নিলেন তাসকিন। টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে ৫ উইকেট পাওয়ায় তিনি অষ্টম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দ্বিতীয়। প্রায় ৭ বছরের ক্যারিয়ারের আগের ১৫ টেস্টে তিনবার ৪ উইকেট পান তাসকিন।
বাংলাদেশের নেতৃত্বে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন আথানেজ। এ ছাড়া অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ২৩, কাভেম হজ ১৫, জশুয়া ডি সিলভা ২২, আলজারি জোসেফ ১৭ ও কেমার রোচ ১২ রান করেন।
Leave a Reply