মুহ. মিজানুর রহমান বাদল,
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক মাহদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর মাহদীর দেখানো মতে তানিয়ার মোবাইল ফোন, হত্যায় ব্যবহৃত ওড়না এবং সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারেস।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাহদী হাসান ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার ডগরমোড়া সিআরপি এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তানিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় মাহদী হাসানের। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক জানাজানি হলে উভয়ের পরিবার আপত্তি জানায়।
এদিকে, তানিয়ার একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের খবর জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন প্রেমিক মাহদী। তাই ২৫ নভেম্বর রাতে জন্মদিনের কেক নিয়ে তিনি তানিয়ার বাড়িতে আসেন। ফোনে ভুল বুঝিয়ে তানিয়াকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তানিয়ার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পরেরদিন তানিয়ার বাবা মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারেস জানান, এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড উদঘাটনে পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের দক্ষতা প্রমাণিত হয়েছে। গ্রেপ্তার মাহদী হাসানকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
Leave a Reply