কুমিল্লাপ্রতিনিধি,
কুমিল্লায় এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন ইপিজেড আনসার কর্মীরা ও বেপজা সিকিউরিটি গার্ড।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লায় কাস্টমস প্রসেসিং জোনে (ইপিজেড) ওই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সংবাদ কর্মীরা জানান, ইপিজেড এলাকাবাসীর আয়োজনে একটি মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় সাংবাদিকরা। ইপিজেড গেইটে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত আনসারকর্মীরা সাংবাদিকদেরকে ঢুকতে বাঁধা দেন।
বেপজা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে চাইলেও তারা গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো কথা না শুনেই তাদেরকে গায়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এসময় সোনালী নিউজের জেলা প্রতিনিধি মইন নাসের খান রাফিকে ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত করে আনসার কর্মীরা৷ সাংবাদিক রাফির শরীরে আঘাত লাগে ও হাত রক্তাক্ত হয়ে যায়। এসময় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দৈনিক আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান নাঈম, দেশ টিভির ক্যামেরা পার্সনসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা করেন তারা ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দৈনিক আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার জাহিদ হাসান নাইম বলেন, আমরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য এসেছিলাম। ইপিজেডের ভেতর দিয়ে অন্য পাশের গেটে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু বেপজা সিকিউরিটি গার্ড ও আনসার কর্মীরা কোনো কথা না শুনেই উচ্চবাক্য করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিক রাফির গায়ে হাত তোলে। আমি এই ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই।
এসময় আরেক গণমাধ্যমকর্মী চ্যানেল এসের কুমিল্লা প্রতিনিধি রাজিব সাহা বলেন, আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে যাব। সেখানে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে এটা তো তারা আগে থেকেই অবগত। আনসার কর্মীরা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে না বলেই শুরু থেকেই উচ্চ বাক্যে কথা বলেন এবং গণমাধ্যম কর্মীদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিক রাফির গায়ে হাত তোলেন। এটা তারা ঠিক করেনি। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বেপজার নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুবকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply