যুগ-যুগান্তর ডেস্ক :
বিগত কয়েক দশক ধরে হু হু করে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। অনিয়মিত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব, ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তাই লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনতেই হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের সাধারণত কম ক্যালোরি এবং কম ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এড়িয়ে চলতে হয় মিষ্টি, প্রসেসড ফুড, ভাজাভুজি। বদল আনতে হয় রোজকার ডায়েটে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, ডায়াবেটিস রোগীরা কী কাঠবাদাম খেতে পারবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কাঠবাদাম সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
এই বাদামে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার। তাই কাঠবাদাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষত ভারী খাবার খাওয়ার পর সুগারকে বশে রাখা যায় এই বাদাম খেলে।
একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, কাঠবাদাম খেলে ফাস্টিং ইনসুলিন ও গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়া বাদামে কার্বসের পরিমাণ খুব কম। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঠবাদাম খেতে পারেন।
হার্টের জন্য উপকারী
ডায়াবেটিসে রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। কাঠবাদামে আছে ভিটামিন ই, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো উপাদান। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের অসুখের ঝুঁকিও কমে।
একাধিক পুষ্টি পাওয়া যায় কাঠবাদামে। হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন এ, ই, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান আছে এতে। এছাড়াও এই বাদামে বেশ কিছু অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা প্রদাহ কমায় এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কাঠবাদাম।
রোজ কতটুকু কাঠবাদাম খাবেন?
ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রতিদিন ৮-১০টি কাঠবাদাম খেতে পারেন। আগের দিন রাতে বাদামগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খান। এছাড়া সকালের নাশতা বা মিড মর্নিং স্ন্যাকস হিসেবেও কাঠবাদাম খেতে পারেন।
Leave a Reply