নিজস্ব প্রতিনিধি
টানা ছয় মাস পর্যায়ক্রমে একাধিকবার বাকপ্রতিবন্ধী সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন সৎ পিতা। ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী। এমন অভিযোগে পিতা মো: বাদল মিয়া (৫০) কে গ্রেফতার করে র্যাব-১১’র একটি দল।
র্যাব জানায়, প্রতিবন্ধী সৎ মেয়েকে ধর্ষণ ঘটনার প্রায় তিন মাস পর পিতা মো: বাদল মিয়াকে মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পের অভিযানিক দল। গত ১৫ মার্চ নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সিংহদী গ্রামে সৎ পিতাকর্তৃক সৎ মেয়েকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে শিশু থাকাকালীন সময়ে তাদের বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তী সময় তার মায়ের সিংহদী গ্রামের ছোবানের ছেলে বাদলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভুক্তভোগী শিশুটি তাদের সংসারেই বড় হয়। গত ৫ মাস আগে সৎ বাবা বাদল তার বাক-প্রতিবন্ধী সৎ মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর পর্যায়ক্রমে একাধিকবার বাদল তার সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ১৪ মার্চ রাত ১টায় পুনরায় ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। এতে মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
গরুর খামারে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এ ব্যাপারে সৎ মেয়ের মামা বাদি হয়ে আড়াইহাজার থানায় গত ২০ মার্চ নারী ও শিশু দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মামলা দায়েরের পর হতে আসামি বাদল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১ নরসিংদী এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিনব কৌশল ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে আসামিকে রূপগঞ্জ থানার কেরাম বোর্ড মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। র্যার-১১ সিপিএসসি নরসিংদীর কোম্পানী কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো: তৌহিদুল মবিন খান বুধবার প্রেস ব্রিফিং তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
Leave a Reply