গাইবান্ধা প্রতিনিধি,
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় উজ্জ্বল মিয়া (২২) নামের এক মাদকাসক্ত যুবকের কিলঘুসিতে দাদা খায়রুল আলম সরকার (৭৫) ও দাদি রোকেয়া বেগম (৭০) মারাত্মক আহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত আহত ওই দম্পতি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালের দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের বাড়িতে উজ্জ্বলের কিলঘুসির শিকার হয় বৃদ্ধ খায়রুল ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয়রা জানায়, বড় ছত্রগাছা গ্রামের স্কুল শিক্ষক সাজু মিয়ার একমাত্র ছেলে উজ্জ্বল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়েছেন। প্রত্যেকদিন ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবন করে আসছেন তিনি। তার এই অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ইতোপূর্বে পরিবারের লোকজন উজ্জ্বলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র ভর্তি করান। সেখান বের হয়ে বাড়িতে অবস্থানের পর আবারও মাদকাসক্ত হন। এই মাদকের জন্য পরিবারের কাছে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে থাকেন। কোনো সময় টাকা দিতে না পারলে শুরু করে মানসিক নির্যাতন।
এরই ধাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালের দিকে উজ্জ্বল মিয়া তার দাদা-দাদির কাছে টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অপরাগত জানালে উজ্জ্বল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দাদা-দাদিকে মারপিট করেন। এতে দাদা খায়রুলের নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়। দাদিও গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় স্বজনরা।
বিষয়টি উজ্জ্বল মিয়ার বাবা সাজু মিয়া এড়িয়ে গেলেও চাচা রাজু মিয়া বলেন, আমার বাবা-মাকে মারপিট করে আহত করেছে উজ্জ্বল। রংপুর মেডিকেল থেকে এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবা-মাকে রংপুরের ডাক্তার ক্লিনিকে নেওয়া হবে।
সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছত্রগাছা এলাকার ওয়ার্ড সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, উজ্জ্বল মিয়ার মারপিটে তার দাদা-দাদি আহত হওয়ার ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। এই ছেলেটি মাদকসক্ত হয়ে প্রায়ই পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে।
Leave a Reply