বিনোদন ডেস্ক:
একটা সময় অভিনয় করতেন। পরে রাজনীতিতে যোগ দিলেও বি-টাউনের ঘরের লোক হয়েই ছিলেন। তার বাড়িতে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানের কথা সবার জানা। যেখানে হাজিরা দিতে কাজ ফেলে ছুটে আসতেন তারকারা।
বলিউড পকেটে রাখতেন সিদ্দিকি। সালমান-শাহরুখের মধ্যাকার চলমান দ্বন্দ্বও তিনিই মিটিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল দুই খানের। ২০০৮ সালে ক্যাটরিনার জন্মদিনের পার্টি থেকে যার সূত্রপাত। ২০১৪ সালে বাবা সিদ্দিকির হাত ধরে ছয় বছর পর অবসান ঘটে এ দ্বন্দ্বের।
সালমান-শাহরুখের মনোমালিন্যের অবসান ঘটাতে বেশ মাথা খাটাতে হয়েছিল বাবা সিদ্দিকিকে। শোনা যায় বলিউড থেকেই দুই খানের দূরত্ব অবসানের অনুরোধ এসেছিল তার কাছে। তিনি তখন বান্দ্রা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।
নিজের বাড়িতে ইফতার পার্টিতে শাহরুখের পাশে বসিয়েছিলেন সালমানের বাবা, বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার সেলিম খানকে। ভাইজান আসার আগ পর্যন্ত দুজনে গল্প করছিলেন। তখনই সালমানের আগমন। আর মুখ ঘুরিয়ে থাকেননি শাহরুখ। উঠে দাঁড়ান এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করেন! ব্যাস, এক তুড়িতেই বলিউডের দুই সুপারস্টারে বড় বিরোধ নিমেষে শেষ হয়।
গতকাল শনিবার নিহত হন বাবা সিদ্দিকি। এদিন সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় কোলগেট গ্রাউন্ডের কাছে তার বিধায়ক পুত্র জিশান সিদ্দিকির অফিসের বাইরে গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিককে। দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তিন আসামির মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তৃতীয়জন বর্তমানে পলাতক। তিনি বলেন, ‘মুম্বাই পুলিশ প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন উত্তরপ্রদেশের, অন্যজন হরিয়ানার। তৃতীয় হামলাকারী পলাতক থাকলেও পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করছে।
এদিকে বাবা সিদ্দিকির ডাকে শত কাজ ফেলে ছুটে আসা বলিউড তারকারা তার মৃত্যু সংবাদ শুনেও ছুটে যাচ্ছেন সব ফেলে। খবর পেয়েই লীলাবতি হাসপাতালে ছুটে যান সঞ্জয় দত্ত। শাহরুখ-সালমানের মতো সঞ্জয়ের সঙ্গেও বাবা সিদ্দিকির ছিল ঘনিষ্ঠতা।
Leave a Reply