নোয়াখালী প্রতিনিধি
স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ। প্রতীকী ছবি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আইয়ুব আলী (২৯) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ৫নম্বর চরজুবিলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন ভোররাতেই ছয়জনের বিরুদ্ধে চরজব্বার থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।
জানা যায়, একদল ডাকাত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই গৃহবধূসহ তার স্বামীকে মারধর করে। একসময় সবাইকে ঘরের বাহিরে নিয়ে যায় এবং স্বামীকে গাছে বেঁধে রাখে। এর মধ্যে আইয়ুব আলী ওই গৃহবধূকে একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা ঘরের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূ ও তার স্বামীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত স্বামীকে উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ১২টায় ডাকাত দলের সদস্যরা চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ঘরে হানা দেয়। ডাকাতরা হলেন- আবু তাহেরর পুত্র আইয়ুব আলী, মৃত শাহ আলমের পুত্র মো. কবির হোসেন, হুকু সারেংয়ের পুত্র সাইফুল ইসলাম, মফিজ পাটোয়ারীর পুত্র মাকসুদ, অজ্ঞাত সাহাব উদ্দিন ও বাদশা। তারা সবাই ডাকাত দলের সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল খায়ের এবং আব্দুল করিম জানান, আমরা তাদের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করে বলেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের পর অভিযুক্ত প্রধান আসামি আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply