নিজস্ব প্রতিবেদক:
৯ দিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবির বিষয়ে গতকাল (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারের বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা) প্রদান করা হবে। কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবমাননাকর’ আখ্যা দিয়ে তারা আজ থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘুরে দেখা যায়, শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষকদের বড় একটা অংশ অবস্থান করছেন। তাদের কেউ স্লোগান দিচ্ছেন, আবার কেউ নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করছেন।
শিক্ষক কুমিল্লা লালমাই উপজেলার যুক্তি খোলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন বলেনন, আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে সোচ্চার। আমরা দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো। গতকাল সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে যে ঘোষণা দিয়েছে, তা আমাদের জন্য খুবই নগন্য ও অপমানজনক। আমরা আর কোনো কথা বলতে যাবো না। আমরা আজ থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছি। আমাদের এই কর্মসূচি চলতেই থাকবে।
তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ অক্টোবর ঘোষণাটি প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষক-কর্মচারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায়।
গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়। শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে হাইকোর্টের মাজার গেটে পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে ফিরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। সন্ধ্যায় সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
Leave a Reply