শিরোনাম :
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা দেশ ছেড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার শেখ হেলালের পিএস মোদি-ট্রাম্প বৈঠকে গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ ইস্যু রাজধানীর কমলাপুরে সরকারি দফতরের ডেভিলদের আগে ধরতে হবে : মির্জা আব্বাস বিশ্বের দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৪তম অবস্থানে বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রায়ের রিভিউ শুনানি দুই সপ্তাহ মুলতবি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন পাকিস্তান হাইকমিশনারের সাথে জামায়াতের আমিরের বৈঠক সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক যমুনায় বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
যোগাযোগ :

ঢাকা থেকে প্রকাশিত, সরকারি মিডিয়া তালিকা ভুক্ত, জাতীয়  দৈনিক যাগযুগান্তর পত্রিকায় ও যে যে টিভি... জেলা উপজেলা, বিশেষ প্রতিনিধি, ক্রাইম রিপোর্টার, বিভাগীয় প্রধান, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নেওয়া হচ্ছে..। আগ্রহীদের সিভি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এন আইডি কার্ড এর কপি এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট মেইল অথবা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। প্রধান কার্যালয়: ২৮, দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা (১৯ তম তলা), সুইট # ১৯০৩, মতিঝিল, ঢাকা - ১০০০। মোবা: 01978268378, হোয়াটসঅ্যাপ: 01612268378, ইমেইল: nskibria2012@gmail.com, শাখা অফিস : ১৮৭/২ আরামবাগ, ঢাকা। প্রধান কার্যালয়: ২৮, দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকা (১৯ তম তলা), সুইট # ১৯০৩, মতিঝিল, ঢাকা - ১০০০। মোবা: 01978268378, হোয়াটসঅ্যাপ: 01612268378 ইমেইল: nskibria2012@gmail.com, শাখা অফিস : ১৮৭/২ আরামবাগ, ঢাকা।

রাজধানীর সূত্রাপুর ছাত্রলীগের সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের মারামারি

রাজধানীর সূত্রাপুর ছাত্রলীগের সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের মারামারি

জবি প্রতিনিধি

মারামারিতে আহত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছবি: আমাদের সময়

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।এতে দুই গ্রুপের মোট চারজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথম মারামারির সূত্রপাত হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি ও ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীর ফরাজির কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে সোহরাওয়ার্দী-সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন হাসপাতালের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। খবর পেয়ে জবি থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি ও জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।

পরবর্তীকালে আবার জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে শোডাউন দিয়ে বিপক্ষ গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। জবি ছাত্রলীগের ১৩ ব্যাচের চয়ন, পাভেল, ইবনে সিনা, রহিম, ১৭ ব্যাচের অপু ও রাজাসহ অনেকে শোডাউনের নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একজনকে আটকও করা হয়। পরে রাতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন খবর পেয়ে জবি ক্যাম্পাসে আসেন।

মারামারিতে আহত জবি ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। গতকাল রাতে জগন্নাথের ৫-৬ জন ও পুরান ঢাকার আরও ৫-৬ জন বন্ধু মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় আমার বন্ধু আকাশের (বাবু বাজারে ব্যবসা করে) সঙ্গে পুরোনো শত্রুতার জের ধরে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে দৌড় দেয়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধু সাব্বিরকে (জুবিলি স্কুলে পড়ালেখা করেন) মেরে গুরুতর আহত করে। এরপর আমাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই গ্রুপের কয়েকজন হাসপাতালে আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসে। মনে করছে জগন্নাথের কেউ নেই। তবে, খবর পেয়ে ফরাজী ভাইয়ের গ্রুপের আমার বড় ভাইয়েরা আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন মার খেয়েছে।’

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আলী আজম খাঁন। আর আজিম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করেন। ’

জানা যায়, আজম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে।

এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে আটক করেছে সূত্রাপুর থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজম খাঁন বলেন, ‘সিয়ামকে মারতে জগন্নাথের ৩০-৪০ জন আসে। আর এরা ছিল মাত্র ৩-৪ জন। তাদের হামলায় সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন আহত হয়েছে। সিয়াম একটি কলেজে ও ফয়সাল লালবাগ কলেজে পড়ে। আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করে মাঝে মাঝে। এটা রাজনৈতিক ঘটনা নয়। বন্ধুদের ভেতরে হাতাহাতি হয়েছে।’

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কলেজের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়। বহিরাগতরা কলেজের নাম ভাঙিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। সিয়াম ও ফয়সাল কলেজের কেউ নয়।’

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলেন, ‘গতকালের মারামারির ঘটনায় জবি শাখা ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জগন্নাথের যে ছেলে মার খেয়েছে, সে ছাত্রলীগের কোনো পদে নাই, কর্মীও নয়।

জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে জবি ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, অনেকে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে জবি ছাত্রলীগ না।’

জবির প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর কোনো মারামারি হয়নি। জেনেছি এই ঘটনায় জবির কিছু ছাত্র ছিল। কোনো অপরাধকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। তারা ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে গতকাল রাতে সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 jujugantor.com
Theme Customized BY SpacialNews.Com