বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কুবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের সিট বণ্টনের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে শিক্ষার্থীরা হল গেইট থেকে মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এই সময় তারা হল প্রভোস্টের পদত্যাগ চান। পরে তারা হল প্রভোস্টের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে অবস্থানরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিক করার জন্য প্রশাসনিক নোটিশ ছাড়াই প্রভোস্টের মর্জি মাফিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা জরিমানা প্রদানের জন্য বলেন। তারা আরও অভিযোগ করেন, অনিয়ম করে এক সিটে ডাবলিং করে থাকার সিদ্ধান্তটি তিনি নিজেই নিয়েছেন। ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হলে তোলার জন্য তিনি এইরকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে জানান তারা।
হলের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাজমুল হৃদয় বলেন, নাজমুল হৃদয় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন‚ আগের প্রশাসনের যে ব্যর্থতা যে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা দিতে পারেনি তারা। এই প্রশাসন সেই ব্যর্থতার কারণে এখন ৫০০, ১ হাজার টাকা করে নেয়ার চেষ্টা করছে আমাদের কাছ থেকে। ১২ থেকে ১৭ ব্যাচ পর্যন্ত সবাইকে টাকা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত প্রশাসন নেয়নি। তার পার্সোনাল ডিসিশন আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। এজন্য আমরা তার পদত্যাগ চাই। উনি আওয়ামী লীগের দোসর। উনি আওয়ামী লীগ করতো বলেই পূর্বের প্রশাসন তাকে নিয়োগ দিয়েছে। তাই আমরা এই প্রভোস্টকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। নজরুল হলে তাকে আর দেখতে চাই না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে হল প্রভোস্ট মোহাম্মদ নাসির হোসাইন বলেন, হল প্রভোস্টদের মিটিংয়ে হলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজগুলো হচ্ছে। যদিও ফরমাল নোটিশের ব্যাপারে একটা গ্যাপ ছিল, যদিও আগামী ২৫ তারিখ প্রশাসনিকভাবে একটা নোটিশ দেয়ার কথা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি যদি কোনো দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে তারা জানাতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
পদত্যাগ বিষয়ে তিনি বলেন, ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে। তবে পদত্যাগের ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হয়নি। আশা করি, তাদের সঙ্গে আলোচনা হলে এই ভুল বোঝাবুঝিগুলো শেষ হয়ে যাবে। তবে যদি মনে হয় আমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করতে পারছি না। তাহলে আমি পদত্যাগ করব।
Leave a Reply